নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর দুপুরে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ছিকলঘাট স্টেশন চত্বরে অনুষ্টিত সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে বর্তমান সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম চেয়ার প্রতীকে ১২২ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি ও ফুটবল প্রতীকে ৮৬ ভোট পেয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খ.ম বুলেট ফের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্মেলনের শুরুতে দুপুরে প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সভাপতি রেজাউল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম।
লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খ.ম বুলেট এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম, সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, এমআর চৌধুরী, আবু মুছা, ছৈয়দ আলম কমিশনার, যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু, জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মিজবাউল হক, প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রোস্তম শাহরিয়ার, আমিনুল করিম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আবছার সওদাগর, আবছার উদ্দিন মাহমুদ, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাইছার উদ্দিন কছির, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক হোসেন সাজিব, আমির হোসেন আমু, কাকারা ইউপির সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত ওসমান প্রমুখ। এছাড়া সম্মেলনে ইউনিয়ন ও সকল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক সকলস্তরের নেতাকর্মী এবং সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমপি বলেছেন, সম্মেলনের মাধ্যমে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিটি ইউনিটকে ঢেলে সাজানো হবে। নতুন কমিটি নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলের জন্য নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে যথাযথ মুল্যায়ন করতে হবে। কমিটির নেতা নির্বাচনে অপকর্মে জড়িত থাকলে কেউ স্থান পারবেনা। এমনকি অনুপ্রবেশকারী কাউকে আওয়ামীলীগের পদায়ন করা হবেনা।
তিনি বলেছেন, দলত্যাগী ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন এমন নেতাও তালিকা থেকে বাদ যাবে। তবে গ্রহণযোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের খুজে খুজে পদায়ন এবং কাউন্সিলার করতে হবে। উপজেলা আওয়ামীলীগের অধিনে সকল ইউনিয়ন শাখার সম্মেলন যথা সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। সেইজন্য প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীকে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। আশাকরি দলের ঐক্যের প্রয়োজনে সকল ধরণের ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামীলীগের সকলস্তরের নেতাকর্মীদেরকে এক কাতারে এসে কাজ করতে হবে। বিভেদ ভুলে যেতে হবে। এটি সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ।
পাঠকের মতামত: